আরাফার ময়দান। একটি ইতিহাস, একটি মর্যাদাপূর্ণ ময়দান। একটি ফরজ ইবাদতের কেন্দ্রস্থল। হাদিসে বলা হয়েছে, ‘আরাফার ময়দানে অবস্থানই হচ্ছে হজ’।

হজের ফরজগুলোর মাঝে এ ময়দানে অবস্থান করা অন্যতম। এ ময়দানে নির্ধারিত দিনে হাজীদের অবস্থান না করলে হজই আদায় হবে না। এতেই স্থানটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য ফুটে উঠে। 

আমাদের প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এ ময়দানেই দিয়েছেন বিদায় হজের ভাষণ। তিনপাশে পাহাড়ে ঘেরা এ ময়দানটিতে অবস্থান তাৎপর্য কেন এতো বেশি? জেনে নেয়া যাক এর আদ্যোপান্ত। 

আরাফার ময়দান কোথায়?
পবিত্র নগরী মক্কা থেকে ১৩-৪৪ কিলোমিটার পূর্বে জাবালে রহমতের পাদদেশে আরাফার ময়দান অবস্থিত। এর দৈর্ঘ এবং প্রস্থ যথাক্রমে দুই কিলোমিটার। ঐতিহাসিক এ ময়দানটি তিন দিকে পাহাড় বেষ্টিত। এ ময়দানের দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে রয়েছে মক্কা-হাদাহ-তায়েফ রিং রোড। এ রোডের দক্ষিণ পাশেই আবেদি উপত্যকায় মক্কার ঐতিহাসিক ‘উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়’ অবস্থিত। উত্তরে সাদ পাহাড়। সেখান থেকে আরাফার ময়দানের সীমানাও প্রায় ১ কিলোমিটার। সেখান থেকে দক্ষিণে গিয়ে মসজিদে নামিরায় আরাফার ময়দানের সীমানা শেষ হয়েছে। 

আরাফা ময়দানের ইতিহাস: 
আরাফার ময়দানের ইতিহাস হজরত আদম (আ.) ও বিবি হাওয়া (আ.) এর সঙ্গে জড়িত। আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) মহান আল্লাহর নির্দেশে বেহেশত থেকে বের হওয়ার পর পৃথিবীতে সর্বপ্রথম তাদের পরস্পর সাক্ষাৎ এই আরাফাত ময়দানে হয়। আদম (আ.) আরাফাত ময়দানে জাবালে রহমতের ওপর বিশ্রাম নেওয়ার উদ্দেশ্যে অবস্থানকালে দেখতে পান, হাওয়া (আ.) জেদ্দার দিক থেকে আরাফাতের ময়দানের দিকে আসছেন। তখন আদম (আ.) দৌঁড়ে যেয়ে তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং অঝোরে কাঁদতে থাকেন। এ সময় আদম ও হাওয়া (আ.) আসমানের দিকে তাকান। 

অত:পর মহান আল্লাহ তায়ালা তাদের দৃষ্টি থেকে পর্দা ওঠিয়ে দিলে তাদের দৃষ্টি আল্লাহর আরশের ওপর গিয়ে পড়ে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অত:পর আদমকে তার প্রতিপালক কতিপয় বাক্য শিক্ষা দেন। এতে রব তার প্রতি মনোযোগী হন, নিশ্চয়ই তিনি তওবা কবুলকারী ও দয়ালু।’ (সূরা বাকারা : ৩৭)। 

এছাড়াও আমাদের নবী (সা.) বিদায় হজের ভাষণ এ ময়দান সংলগ্ন জাবালে রহমত পাহাড়ে দাঁড়িয়ে দিয়েছিলেন। একারণেও স্থানটি উম্মতে মুহাম্মদি কাছের স্মৃতি বিজড়িত ঐতিহাসিক স্থান।

আরাফার ময়দানে অবস্থানের বিধান: 
হাজীদের জন্য আরাফার ময়দানে অবস্থান করা ফরজ। ৯ জিলহজ্ব সূর্য ঢলা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে হজের নিয়তে কিছুক্ষণ অবস্থান করলেই এ ফরজ আদায় হয়ে যাবে। তবে সূর্যাস্তের আগে কোনোভাবেই আরাফার ময়দানের সীমানা ত্যাগ করা যাবে না। না হয় দম আদায় ওয়াজিব হবে। নির্ধারিত সময়ের আগে ও পরে আরাফার ময়দানে অবস্থান করলে হজের বিধান পালন হবে না। তবে আরাফাহ দিবসের রাতে আরাফার ময়দানে অবস্থান করা সুন্নত। 

আরাফার ময়দানের আমল:
৯ জিলহজ্ব বাদ ফজর থেকেই আরাফার ময়দানের কার্যক্রম শুরু হয়। প্রত্যেক হাজীকে এ দিন সূর্য পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়ার আগেই অর্থাৎ জোহরের আগেই এসে হাজির হওয়া আবশ্যক। এ ময়দানে প্রদত্ত খোতবা শ্রবণ করে আল্লাহ তাআলার দরবারে দোয়া ও ইসতেগফারের মাধ্যমে দিনটি অতিবাহিত করতে হয়। এ দিনটি মহান আল্লাহ তাআলার নিকট অন্য দিনগুলোর থেকে আলাদা এবং এ দিনের ইবাদাত-বন্দেগির সাওয়াব অন্য দিনের তুলনায় দিগুণ।

আরাফাতের ময়দানে হজ পালনকারীদের জন্য রয়েছে কিছু করণীয়। যা পালন করা অত্যন্ত সাওয়াবের কাজ- 

(১) মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে একনিষ্ঠ তাওবার সঙ্গে আরাফাতের ময়দানের দিকে রওয়ানা হওয়া। 

(২) মিনা থেকে আরাফাতের ময়দানে আসার নিয়তে গোসল করা; সম্ভব না হলে ওজু করে আরাফায় প্রবেশ করা। 

(৩) ৯ জিলহজ সূর্য পশ্চিম আকাশে ঢলে পড়ার আগেই অর্থাৎ ১২টার পর থেকে সূর্যাস্ত (সন্ধ্যা) পর্যন্ত পুরো সময় অবস্থান করা ওয়াজিব। 

(৪) নামাজের ওয়াক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মসজিদে নামিরাসহ আরাফাতের ময়দানের যেকোনো জায়গায় অবস্থান করা এবং নিজ নিজ জায়গায় নামাজ আদায় করা। অর্থাৎ জোহরের সময় জোহর এবং আসরের ওয়াক্তে আসর নামাজ আদায় করার এবং দোয়া ইসতেগফার করা। 

জামাতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে মসজিদে নামিরায় জোহর ও আসরের জামাত এক আজানে দুই ইকামাতে (জময়ে’ তাক্বদিম) একত্রে আদায় করলে একত্রে দুই ওয়াক্ত আদায় করা করা যাবে। কিন্তু তাবুতে বা অন্য কোনো স্থানে একত্রে আদায় না করে আলাদা আলাদা আদায় করা। 

(৫) আরাফার দিনে দুই হাত উত্তোলন করে বেশি বেশি দোয়া করা। বিশেষ করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামসহ পূর্ববর্তী নবী রাসুলগণ যে দোয়া পাঠ করেছেন, তা পাঠ করা। আরাফার ময়দানের অন্যতম দোয়া হলো, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদির।’ 

(৬) পঞ্চ ইন্দ্রিয় তথা চোখ, কান, নাক, জিহ্বা তথা স্পর্শসহ যাবতীয় হারাম কাজ থেকে বিরত থাকা। হাদিসের পরিভাষায় যে ব্যক্তি তার কান, চোখ ও জিহ্বাকে সঠিক কাজে ব্যয় করবে, আল্লাহ তাআলা তাকে ক্ষমা করে দিবেন। 

(৭) বিশেষ করে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত ও বিশ্বনবীর প্রতি দরূদ প্রেরণ হলো আরাফাতের ময়দানের সর্বোত্তম আমল। 

(৮) সম্ভব হলে আরাফাতের ময়দানে সিজদায় দোয়া ও ইসতেগফারের মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করা। 

(৯) সূর্যাস্তের পর সঙ্গে সঙ্গে মাগরিব না পড়ে মুজদালিফার দিকে রওয়ানা হওয়া।

অন্যান্যদের জন্য আরাফা দিবসের আমল:
(১) রোজা পালন করা। এটা এদিনের সর্বোত্তম আমল। সহিহ মুসলিম শরিফের এক হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, ‘আরাফার দিবসের রোজা, পূর্বের এক বছর ও পরের এক বছরের গুনাহের কাফফারা হয়ে যায়।’ তবে এ রোজা হাজীদের জন্য নয়, যারা হজে যায়নি তাদের জন্য। হাজীদের জন্য আরাফার দিবসে রোজা রাখা মাকরুহ। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বিদায় হজের সময় আরাফার দিবসে রোজা রাখেননি। বরং সবার সম্মুখে তিনি দুধ পান করেছেন। (মুসলিম)

ইকরামা থেকে এক বর্ণনায় এসেছে, তিনি বলেন, আমি আবু হুরায়রা (রা.) এর বাড়িতে প্রবেশ করে আরাফার দিবসে আরাফার ময়দানে থাকা অবস্থায় রোজা রাখার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) আরাফার ময়দানে আরাফার দিবসের রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমদ: ২/৩০৪)

(২) তাকবিরে তাহরিমাসহ জামাতে নামাজ আদায় করা। বেশি বেশি সিজদা করা অর্থাৎ নফল নামাজ পড়া। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘বেশি বেশি সিজদা করা তোমার দায়িত্ব। কেননা, তুমি যদি আল্লাহর জন্য একটি সিজদা করো তাহলে আল্লাহ তোমার একটি মর্যাদা বাড়িয়ে দিবেন, আর একটি গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন।’  (সহিহ মুসলিম: ৭৮৮)
 (৩) পুরুষের উচ্চ আওয়াজে একাকি তাকবির পাঠ করা। নারীরা নিম্নস্বরে তাকবির বলবে।

(৪) আরাফার দিনে বেশি বেশি দোয়া পাঠ করা। আরাফার দিনের উত্তম দোয়া হলো, যেগুলো রাসূলুল্লাহ (সা.) ও পূর্ববর্তী নবীরা পাঠ করেছেন। ওই সব দোয়ার অন্যতম হলো, ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুওয়া আলা কুল্লি শাইয়্যিন ক্বাদির।’ এ ছাড়া আরাফার দিনের দোয়ায় আল্লাহর কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার দোয়াও করা। আলেমরা ‘সুবহানাল্লাহ, ওয়াল হামদুলিল্লাহ, ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার’ বেশি বেশি পাঠ করার কথা বলেন।

(৫) চোখ, কান ও জিহ্বাকে হারাম কাজ থেকে বিরত রাখা। হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আরাফার দিবসে যে তার কান, চোখ, জিহ্বাকে সঠিক কাজে ব্যয় করবে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’ (শোয়াবুল ঈমান: ৩৭৬৬) ৬. কোরআনে কারিম তেলাওয়াত করা। কোরআনের অর্থ ও তাফসির পাঠ করা। ৬. হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) এর প্রতি দরূদ পাঠ করা। ৮. সৎ কাজের আদেশ করা ও অসৎ কাজ থেকে অন্যকে বিরত রাখা।

পবিত্র কোরআন হাদিসের আলোকে আরাফা দিবসের ফজিলত: 
পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে, শপথ উষার। শপথ ১০ রজনীর, শপথ জোড় ও বেজোড়ের। (সূরা ফজর: আয়াত নং-১-৩)। এ আয়াতে জোড় বলতে ঈদুল আজহার দিন আর বেজোড় বলতে আরাফা দিবসকে বুঝানো হয়েছে। হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে হজরত মুহাম্মাদ (সা.) জোড় ও বেজোড়ের এ ব্যাখ্যাই করেছেন (তাফসিরে ইবনে কাছীর ও মাআরিফুল কোরআন), অবশ্য জোড় বেজোড়ের অন্যান্য ব্যাখ্যাও রয়েছে। 

হাদীসে আরাফার দিবসের অনেক ফজিলত বর্ণনা করা হয়েছে। আরাফার ময়দানের হাজীদের নিয়ে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করেন। এ দিন হাজীদের ওপর বিশেষভাবে মহান আল্লাহর রহমত বর্ষণ হয় এবং জাহান্নামিদের অধিক পরিমাণে মুক্তি দেওয়া হয়। এছাড়াও বান্দার গোনাহ মার্জনার কারণে এই দিন শয়তান চরমভাবে অপমানিত হয়। তাই আরাফাত আল্লাহ প্রদত্ত একটি শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। 

এ প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন আরাফাতের দিন হয়, তখন মহান আল্লাহ তায়ালা এই নিকটতম আসমানে আসেন। হাজীদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করেন এবং বলেন যে, দেখ আমার বান্দাদের দিকে, তারা আমার কাছে এসেছে এলোমেলো কেশে ধুলাবালি গায়ে, ফরিয়াদ করতে করতে বহুদূর-দূরান্ত থেকে। আমি তোমাদের সাক্ষী করছি, আমি তাদের ক্ষমা করে দিলাম। তখন ফেরেশতারা বলেন, হে আল্লাহ! অমুককে তো বড় গোনাহগার বলা হয়। আর অমুক পুরুষ ও অমুক স্ত্রীকেও। প্রত্যুত্তরে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আমি তাদেরও ক্ষমা করে দিলাম। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, এমন কোনো দিন নেই, যাতে জাহান্নাম থেকে অধিক মুক্তি দেওয়া হয়ে থাকে আরাফাতের দিন অপেক্ষা। (শরহে সুন্নাহ)। 

রাসূল (সা.) আরো বলেন, শয়তানকে কোনো দিন এত অধিক অপমানিত, ধিকৃত, হীন ও রাগান্বিত দেখা যায়া না আরাফাতের দিন অপেক্ষা। যেহেতু সে দেখতে থাকে যে, বান্দার প্রতি আল্লাহর রহমত নাজিল হচ্ছে এবং তাদের বড় বড় গোনাহ ক্ষমা করা হচ্ছে। কিন্তু যা দেখা গিয়েছিল বদরের দিনে; তা ব্যতীত। কেউ জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল! বদরের দিন কী দেখা গিয়েছিল?  উত্তরে তিনি বলেন, সেদিন যখন সে নিশ্চিতরূপে দেখছিল যে, জিবরাইল (আ.) ফেরেশতাদের সারিবন্দি করছেন (মালেক মুরসালরূপে)।

আরাফাত দিবস দোয়া কবুল হওয়ার সময়। এ দিনের দোয়াই শ্রেষ্ঠ দোয়া। এ মর্মে রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, সব দোয়ার শ্রেষ্ঠ দোয়া হলো আরাফাতের দিনের দোয়া। (তিরমিজি : ৩৯৩৪)। হাদিসে আরো আছে, আরাফাতের দিন বিকালে রাসূলুল্লাহ (সা.) স্বীয় উম্মতদের (হাজীদের) জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমাপ্রার্থনা করলেন। উত্তর দেওয়া হলো অন্যের প্রতি জুলম ব্যতীত সব গোনাহ আমি ক্ষমা করে দিলাম। কিন্তু আমি মজলুমের পক্ষে তাকে পাকড়াও করব। (ইবনে মাজাহ : ৩১২৭)।

আরাফার ময়দানে খুৎবা:
হাজীদের উদ্দেশ্যে এবার হজের খুৎবা দিবেন মসজিদে নববির সিনিয়র ইমাম ও খতিব, মদিনা সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি শায়খ ড. হুসাইন আলে শায়খ। আরাফাতের ময়দানে যোহরের ওয়াক্তে এক আজান ও দুই একামতে দুই রাকাত করে যোহর ও আসর একসঙ্গে আদায় করা হজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আমল। এই নামাজের পরই ঐতিহাসিক আরাফাত ময়দানের মসজিদে নামিরার মিম্বরে দাঁড়িয়ে খুতবা দেন হজের খতিব।

ইসলামের ইতিহাসে মহানবী (সা.) সর্বপ্রথম অষ্টম হিজরিতে মক্কা বিজয়ের পর হজের আমির নিযুক্ত করেন স্থানীয় সাহাবি হজরত আত্তাব বিন উসাইদ উমাওয়িকে (রা.)। পরের বছর নবম হিজরি মদিনা থেকে নিজের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠান হজরত আবু বকর (রা.) কে। দশম হিজরিতে বিদায় হজে আরাফার ময়দানে নিজের কসওয়া নামক উটের পিঠে বসে সর্বপ্রথম আরাফার খুতবা দেন হজরত মুহাম্মদ (সা.)। তার পর থেকে প্রতি বছর মুসলিম খলিফা বা তার প্রতিনিধি এ খুতবা দিয়ে আসছেন।

আলে সউদ শাসনামলে বাদশাহর প্রতিনিধি হিসেবে ১৩৪৪ হিজরি থেকে ১৩৭৬ হিজরি পর্যন্ত খুতবা প্রদান করেন শায়খ আবদুল্লাহ বিন হাসান বিন হুসাইন আলে শায়খ, ১৩৭৭ থেকে ১৪০১ হিজরি পর্যন্ত শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ বিন হাসান আলে শায়খ, ১৩৯৯ হিজরি শায়খ সালেহ বিন মুহাম্মদ আল লাহিদান, ১৪০২ থেকে ১৪৩৬ হিজরি পর্যন্ত শায়খ আবদুল আজিজ বিন আবদুল্লাহ আলে শায়খ, ১৪৩৭ হিজরিতে শায়খ ড. আবদুর রহমান সুদাইস ও ১৪৩৮ হিজরিতে শায়খ ড. সাদ বিন নাসের শাছারি।

যারা ২০২৩ অথবা ২০২৪/২০২৫ সালে 

হজ্জে যেতে চান তারা চাইলে প্রি-রেজিস্ট্রেশন 

এখনি করতে পারেন।

 

হজ্জের প্রি-রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে বিস্তারিত 

জানতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

www.umrah.com.bd

🔗️ প্রি-রেজিস্ট্রেশনের জন্য যা যা দরকার:

🔗️ জাতীয় পরিচয়পত্র

🔗️ অথবা অনূর্ধ্ব ১৮ বছরের জন্য জন্ম নিবন্ধন সনদ

🔗️ মোবাইল নম্বর

🔗️ প্রি-রেজিস্ট্রেশনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ৩০,৭৫২/- টাকা

👉 প্রি-রেজিস্ট্রেশনের বিস্তারিত জানতে কল করুন:

                        01720028498